,

বানিয়াচং, চুনারুঘাট ও বাহুবলে বজ্রপাতে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় বজ্রপাতে এক নারীসহ তিন জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবারে পৃথক পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, বানিয়াচং ও বাহুবল উপজেলায় তিনজন নিহত হন। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করেছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বাহুবল উপজেলা:- বাহুবল উপজেলার পুটিজুরীতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কাজী আবুল কালাম (৪২) নামের এক ধান কাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গুঙ্গিয়াজুরি হওরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত শ্রমিক পুটিজুরী ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের কাজী সনজব উল্লার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই শ্রমিক ও তার সহযোগিরা উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের গুঙ্গিয়াজুরি হওরে ধান কাটতে যান। দুপুর ১২টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বজ্রপাত হলে একটি বজ্র এসে কালামের উপর আঁচড়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আশপাশে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকরা তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বিকেলে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম নিহতের বাড়ি গিয়ে স্বজনদের হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। চুনারুঘাট উপজেলা:- চুনারুঘাটে বজ্রপাতে হেনা বেগম (৩৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার  দুপুরে উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের তাউসী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হেনা বেগম ওই গ্রামের কাতার প্রবাসী সোহেল মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, হেনা বেগম দুপুরে খড় সংগ্রহের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেনা বেগমের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বানিয়াচং উপজেলা:- বানিয়াচং উপজেলার মুড়ারআব্দা গ্রামে বজ্রপাতে রনধীর চন্দ্র দাস (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার  দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রনধীর মুড়ারআব্দা গ্রামের মৃত যতীন্দ্র চন্দ্র দাশের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে মুড়ারআব্দা হাওর থেকে ধান নিয়ে ফিরছিলেন রনধীর। এসময় বজ্রপাতের আঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর